Header Ads

সঠিক সময়ে অস্টিওপরোসিস চিকিৎসা নিলে হাড় ভাঙার ঝুঁকি কমে।

সময়মতো অস্টিওপরোসিস চিকিৎসা নিলে কমবে হাড় ভাঙার ঝুঁকি। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে মারাত্মক অবস্থা হতে পারে। 


অষ্টিওপোরোসিস হাড়ের একটি ক্ষয়জনিত রোগ । এই রোগের ফলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায় , হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে এবং সহজেই ভেঙে যায় । মহিলাদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ ও পুরুষদের প্রায় পঞ্চমাংশের এই রোগ হয়ে থাকে । মহিলাদের মেনোপজ হওয়ার পর , বংশগত কারণে , বহুদিন স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ সেবন , খিঁচুনির চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ , পাকস্থলীর অ্যাসিড নিবারণকারী ওষুধ ইত্যাদি দীর্ঘদিন সেবনের ফলে এ রোগ হতে পারে । তা ছাড়া মদ্যপান ও ধূমপানের কারণে এ রোগ হয় । ক্যালসিয়াম , ভিটামিন ডি এবং সুষম খাদ্যের অভাবেও এ রোগ হয়ে থাকে । অস্টিওপোরোসিস একটি নীরব ঘাতক হাড় ভেঙে যাওয়ার আগে বুঝতে পারেন না । তবে কারও কারও পিঠের পেছনে ব্যথা অনুভূত হওয়া এবং বিভিন্ন হাড়ে ব্যথা অনুভব করা এই রোগের অন্যতম লক্ষণ । সাধারণত মেরুদণ্ডের হাড় , পাঁজরের হাড়,হাতের কবজি এবং Femur — এর ওপরের ফ্র্যাকচার হয়। তা ছাড়া শরীরের যেকোনো হাড় অস্টিওপোরোসিসের কারণে ফ্রাকচার হতে পারে । এসব হাড় ভাঙায় অনেকেরই সার্জারির প্রয়োজন হয় এবং অনেকে দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক অক্ষমতায় ভোগেন । এ রোগ নির্ণয়ের জন্য আধুনিক অনেক পরীক্ষার প্রচলন আছে । অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধের জন্য সুষম খাবার খাওয়া , সবুজ শাকসবজি , ফল খাওয়া , ক্যালসিয়াম ও খনিজসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে । প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট (বেলা ১১টা থেকে ৩ টার মধ্যে) রোদে থাকতে হবে । মাদক ও ধূমপান পরিত্যাগ করতে হবে । তা ছাড়া যেসব ওষুধ দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের ফলে এই রোগ হয়ে থাকে সেসব ওষুধ সেবনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.